চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের , সামনে দুই পক্ষের গুলিতে নিহত আলাউদ্দিন নামে এক নিরীহ দিনমজুরের মামলার এখনো নিষ্পত্তি
হয়নি। বন্দুকধারীদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে কী আছে তার
জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা যুবলীগ কর্মী হওয়ায় তদন্ত চলছে ধীরগতিতে।আজ বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের
এক বছর পূর্ণ হলো। তবে মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ কর্মী মো. নাসিরসহ পাঁচজনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বাকি চার আসামি জামিনে
রয়েছেন। আলাউদ্দিনের মা আছিয়া খাতুন বলেন, গরীব বলে বিচার পাব না।গত বছরের ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন
পাহাড়তলী ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসুফ টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী
প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন দিনমজুর আলাউদ্দিন। তিনি কারো অনুসারী ছিলেন না। ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের
রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে থাকতেন আলাউদ্দিন। সকালের নাস্তা করে কাজে যাওয়ার পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়।ঘটনার শুরু থেকেই রেলওয়ে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। গত বছরের আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ মামলায় চার আসামি জামিনে রয়েছেন। আক্তার, মোঃ বিল্লাল, মোঃ হেলাল ও মোঃ ইমনকে আদালতের নির্দেশে আদালত পরিদর্শকের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যুবলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পলাতক আসামি মো. নাসির, সাইদুল ইসলাম, জজ মিয়া, মোঃ সাজু ও মোঃ নাছিরকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।সূত্র জানায়, সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার পাঁচশত জিবি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে। ঘটনার দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুটেজ অপসারণ করা হয়।আদালত
মুছে ফেলা ফুটেজ পরীক্ষার জন্য
মুছে ফেলা ফুটেজ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দেন।নগরীর খুলশী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন ওরফে হিরণের বাড়ি থেকে ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশেই তার বাড়ি। তিনি ছিলেন বিদায়ী কাউন্সিলর। দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় গত নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানকে তার প্রার্থী হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের দিন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন না। তার কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। ওয়াসিম তার ছোট ভাইয়ের মতো।ঘটনার দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়ির কোনো সিসিটিভি ফুটেজ কেন ছিল না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী করে বলব। ঘটনাস্থলের আশপাশে সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আমি নিজেই চাই হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা হোক। ন্যায়বিচার আছে।’পাহাড়তলী ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগরীর