জলাধার উদ্ধারে যান ঢাকা উত্তর সিটি , করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ওই অভিযানে স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের
লোকজন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে। এ সময় লুটপাটের ভিডিও রেকর্ড করায় প্রথম আলোর সাংবাদিককেও অপমান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে খিলক্ষেতের কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটির অভিযানে এ লুটপাটের দৃশ্য দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়রের
উপস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসহাক মিয়ার কর্মী-সমর্থকরা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন সাইট অফিসে ভাঙচুর
চালায়। নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের জানালার গ্রিল লুট করে নিয়ে যায়।উদ্ধার অভিযানের সময় স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন লুটপাট করে
উদ্ধার অভিযানের সময় তারা স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জনসাধারণের ভাবমূর্তি লুট করেছে: তানভীর আহমেদএর পাশেই ছিল নির্মাণ
জলাধার উদ্ধারে যান ঢাকা উত্তর সিটি
কর্মকর্তা, শ্রমিক এবং লাগেজ রাখার জন্য একটি অস্থায়ী টিনের ঘর। কাউন্সিলরের কর্মচারীরা বাড়ির ভেতরের সিমেন্টের বস্তা, চেয়ার, টেবিল, রডসহ অন্যান্য লোহার স্থাপনা লুটপাট শুরু করে। এ সময় কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।একপর্যায়ে তারা রিকশা ডেকে বাসা থেকে লুট করা সিমেন্টের বস্তা তুলতে থাকে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মী কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তারা দৃশ্য ধারণ করতে গেলে শ্রমিকরা সরে যায় এবং রিকশাচালক ও একজন শ্রমিককে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলে।লুটপাটের একপর্যায়ে স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চেয়ার কেড়ে নিচ্ছেন লোকজনলুটপাটের একপর্যায়ে লোকজন স্থানীয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চেয়ার কেড়ে নিচ্ছে: তানভীর আহমেদভিডিওটি দেখে পাশ থেকে সাংবাদিককে গালিগালাজ করেন কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হাসমত আলী। সিমেন্টের বস্তা লুটেরাদের একজন ফিরে এসে
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিডিওটি মুছে
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিডিওটি মুছে দিতে বলে। ওই ব্যক্তি সাংবাদিকের শার্টের কলার চেপে ধরে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।অভিযানকালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে উচ্ছেদকৃত জিনিসপত্র সাধারণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার করে সরিয়ে নেন। সেগুলো পরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে।ডাকাতির ভিডিও করার সময় প্রথম আলোর এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন ওই ব্যক্তি
লুটপাটের খবরের ছবি তোলার সময় প্রথম আলোর এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন ওই ব্যক্তি। ডেভেলপার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর মাসুম আহমেদকে কোম্পানির জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আমরা কোনো সিমেন্টের বস্তা, জানালার গ্রিল, চেয়ার-টেবিল, রড-কাঠামো স্পর্শ করিনি। মেয়র যে বড় সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তা সরানোর কাজ করছি মাত্র। ‘